Logo
HEL [tta_listen_btn]

৫ বছর পর আবার খেলা হবে এমপি সেলিম ওসমান

৫ বছর পর আবার খেলা হবে এমপি সেলিম ওসমান

নিজস্ব সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, নির্বাচন এলে খেলা হয়েই থাকে। সেই খেলা এখন শেষ হয়েছে। ৫ বছর পর আবারও খেলা হবে, সেই খেলার জন্য বসে থাকলে চলবে না। এই ৫ বছর সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ক্ষমতা নিয়ে বসে থাকলে হবে না । রোববার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরে অবস্থিত উইজডম অ্যাটায়ার্সে এমপি সেলিম ওসমানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। মতবিনিময় সভায় এলাকায় কি কি সমস্যা রয়েছে, একে একে সেগুলোই বলছিলেন বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। সমস্যাগুলোর সমাধানে সেক্টর ধরে ধরে উত্তর দিচ্ছিলেন কখনও উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা, কখনওবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)। সাথে সাথেই সমাধানের দিক নির্দেশনা দিচ্ছিলেন সংসদ সদস্য নিজেই। নিজ আসনের লাখো মানুষের সমস্যা সমাধানে এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের উদ্যোক্তা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। বন্দর উপজেলার উন্নয়নে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নিয়ে ভবিষ্যতের উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ে সেখানে রাস্তা-ঘাট মেরামত, ব্রিজ, কালবার্ড নির্মাণ, খাল খনন, নদীর পানির মান উন্নয়ন, কৃষিখাতের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কথা বললেন। পাশাপাশি মাদক, চাঁদাবাজী ও যানজট নিরসনেও বিশেষ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বি.এম. কুদরত-এ-খুদা ও বন্দর থানার পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতাভুক্ত ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সকল চেয়ারম্যান প্রার্থী, বিজয়ী সকল মেম্বার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উক্ত আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছেন।সন্ধ্যা ৬টায় কোরআন শরিফ তেলওয়াতের মধ্যদিয়ে মতবিনিময় সভা শুরু হয়। পরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংসদ সেলিম ওসমান। ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা তাদের ৩টি করে সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সেগুলা তালিকাভুক্ত করে ইউএনও এবং ওসিকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশদেন সেলিম ওসমান।মতবিনিময় সভায় ইউনিয়নগুলো থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে নির্বাচিত স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা। আলীরটেক ইউনিয়ন থেকে সমস্যার কথা তুলে ধরেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন ফজর আলী, বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, ধামগড় ইউনিয়ন কামাল উদ্দিন, মুছাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাকসুদ, বন্দর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন ও কলাগাছিয়া ইউনিয়নে দেলোয়ার হোসেন প্রধান। বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, ইউনিয়নগুলোর ৭৮টি রাস্তা পাকা করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩২টি সড়ক সম্পন্ন হয়েছে। ২১টি রাস্তার কাজ চলমান, আর ২৫টি রাস্তার কাজ করোনার কারণ বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তাগুলোর কাজ হয়ে গেলে উন্নয়নের একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বন্দর। বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বি.এম. কুদরত-এ-খুদা চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যে কোন সমস্যায় সরাসরি যোগাযোগ করবেন। বন্দর উপজেলার উন্নয়নের স্বার্থে আমরা আপনাদের পাশে থাকবো। চেষ্টা করবো জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার। কারণ আমাদের হচ্ছে বদলীর চাকরি। যেখানেই আমরা কাজ করি, সেই এলাকার মানুষকে কিছু দিতে পারাটাই আমার জন্য স্বার্থকতা। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, জনপ্রতিনিধিরা যদি পুলিশ প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে, তাহলে মাদকসহ সমাজের বিশৃঙ্খলা থাকবে না। এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে সেলিম ওসমান বলেন, নির্বাচন আসলে খেলা হয়েই থাকে। সেই খেলা এখন শেষ হয়েছে। ৫ বছর পর আবারও খেলা হবে, সেই খেলার জন্য বসে থাকলে চলবে না। এই ৫ বছর সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ক্ষমতা নিয়ে বসে থাকলে হবে না। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা পরস্পর যোগাযোগ করে কাজ করতে হবে। এই মতবিনিময় সভায় গোগনগর ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও ধামগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দর্শক সারিতে বসে ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যরা পুরো এই কার্যক্রম দেখছিলেন। মতবিনিময় সভা শেষে রাতের খাবারের আয়োজন করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com